একটা সময় হানিমুন পিরিয়ড, শরীরের মোহ চলে যায়!

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত এই রাত তোমার আমার ছবিটি মাত্র কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে। দুই বৃদ্ধ যাঁরা তাঁদের ৫০ বছরের বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করলেন তাঁদের গল্পকে এই ছবিতে তুলে ধরেছেন তিনি। গল্পে উঠে এসেছে দাম্পত্য, সম্পর্কের নানা দিক, রসায়নের কথা। কিন্তু যখন কোনও সম্পর্ক দীর্ঘদিন টিকে যায়, একটা মানুষের অনেকটা বা প্রায় পুরোটাই জানা হয়ে যায় তখন একঘেয়েমি কাটিয়ে প্রেমে থাকা যায় কীভাবে?
সমস্যাগুলো আসে সেটার মোকাবিলা করা যায় কীভাবে সেটা নিয়েই এদিন নিজের মতামত জানালেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
কী জানালেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়?
এদিন সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পরমব্রত এই বিষয়ে বলেন, 'লম্বা সর্ম্পকে থেকেছি নিঃসন্দেহে। ১১ বছরের একটা সর্ম্পকে ছিলাম। আমার মনে হয় সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে যে একটা সময়ের পর শরীরের মোহটা চলে যায়। একটা সময়ের পর ওই হানিমুন পিরিয়ড চলে যায়। সব চেনা হয়ে যায় অন্য মানুষটার। অন্তত আমরা মনে করি অন্য মানুষটার শরীর মন চেনা হয়ে যায়। এবং তাদের প্রাত্যহিক যে অভ্যাসগুলো সেটার সঙ্গেও পরিচিত হয়ে যাই। তার বাথরুমে কতটা সময় লাগে, বাথরুমে থাকলে বাইরে থেকে কতটা আওয়াজ পাওয়া যায় সবটাই জানা হয়ে যায়। সেই সময় না ভালোবাসা, প্রেম জিনিসটা একটা অন্য মানে পায়। অন্য অর্থ পায় বলে আমার বিশ্বাস। আর সেটা যথাযথ ভাবে সেলিব্রেট করা হয় না বলেই আমাদের মধ্যে। ইয়ং লাভ বিষয়টা ভীষণ আকর্ষক। ওটা যতটা উদযাপিত হয় এটা হয় না। কিন্তু এই দুটো বুড়ো মানুষের মধ্যে প্রেমও কিন্তু ততটাই আকর্ষক।'
তিনি এদিন আরও বলেন, 'আমার মনে হয় দুটো মানুষ যতই ১০০ বছর একসঙ্গে কাটাক না কেন এক শতাংশ হলেও অচেনা থাকে। তো সেটার অন্বেষণে আমরা কোথাও একটা ঘুরতে থাকি কিন্তু। সেই খোঁজটা ভালো। টেকেন ফর গ্র্যান্টেড হয়ে যায় যদি জিনিসটা তাহলে ওই এক শতাংশের খোঁজটা চলে যাবে জীবন থেকে। সেটা চলে গেলে নেহাতই অভ্যাস হয়ে যায়। অভ্যাস মানেই ভালোবাসা না, কিন্তু ভালোবাসা মানে কিন্তু অভ্যাসও হতে পারে।'
প্রসঙ্গত এই রাত তোমার আমার ছবিটিতে মুখ্য ভূমিকায় আছেন অঞ্জন দত্ত এবং অপর্ণা সেন। তাঁদের ছেলের চরিত্রে দেখা গিয়েছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। দর্শক থেকে সমালোচকদের থেকে তুমুল সাড়া পাচ্ছে এই ছবি।
What's Your Reaction?






