সন্তান আসার আগেই পদক্ষেপ পরম এর:

পিয়া চক্রবর্তী জানান, তাঁরা চান তাঁদের সন্তান সামাজিক, অর্থনৈতিক, ভাষাগত এবং ধর্মীয় বিষয়গুলির বৈচিত্র্যকে বুঝুক এবং সম্মান করুক। তিনি আরও বলেন, "আমি ওর বেড়ে ওঠার সময়টায় ওকে আলোকবৃত্ত থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করব।"
এই আদর্শে সন্তানকে বড় করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন পরমব্রত। সকলের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা ছোটবেলা থেকেই গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তাঁরা। সেই কারণেই নিজেদের ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিয়েছেন এই দম্পতি। পরমব্রত বলেন, "আমি আমার অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করেছি। কাছাকাছি পার্ক আছে এমন একটা পুরনো বাড়িতে চলে এসেছি। আমি চাই আমার সন্তান আশেপাশের শিশুদের সঙ্গে খেলুক। একটা বাস্তব সমাজের মধ্যে বেড়ে উঠুক।"
শুধু সামাজিক মেলামেশা নয়, একটি শিশুর মানসিক বিকাশে সাংস্কৃতিক বিষয়ের গুরুত্বও অপরিহার্য বলে মনে করেন পরম ও পিয়া। কবিতা, উপন্যাস, গান-এই সবকিছুই একটি শিশুর মানসিকতাকে প্রভাবিত করে। নিজেদের সংস্কৃতির পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে সন্তানকে পরিচিত করানোর কথাও ভাবছেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে পিয়া বলেন, "যেহেতু আমরা দুজনেই গান পছন্দ করি, তাই আমরা আরও বেশি করে গান শুনছি। আশা করি আমাদের সন্তানও খুব তাড়াতাড়ি এর স্বাদ উপভোগ করতে পারবে।"
প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি 'বেবি অন দ্য ওয়ে' কার্ড শেয়ার করে পিয়া চক্রবর্তী তাঁদের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর দেন। সেখানে তাঁদের দুই পোষ্যর ছবি দিয়ে লেখেন, "এই আমরা, এই আমাদের বড় সন্তান নিনা, তারপর গত বছর বাঘা এসেছিল, আমাদের ভালোবাসার বুদবুদ ক্রমশ বেড়ে উঠছে, শীঘ্রই এই দলে যোগদান করবে একজন মানুষ!"
শোনা যাচ্ছে, আগামী জুন মাসেই পিয়া চক্রবর্তী প্রথম সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। স্ত্রীর অন্তঃসত্ত্বাকালীন সময়ে কাজের ফাঁকে যতটা সম্ভব সময় দিচ্ছেন পরমব্রত। গত ১০ এপ্রিল 'কিলবিল সোসাইটি'র প্রিমিয়ারেও স্ত্রীকে হাত ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা এবং পাশাপাশি বসে সিনেমা দেখেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে পোজও দেন দু'জনে, যেখানে পিয়ার বেবিবাম্প স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। পরম ও পিয়া তাঁদের সন্তানকে এক মুক্ত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ পরিবেশে বড় করে তুলতে বদ্ধপরিকর, সেই বার্তাই যেন তাঁদের আলোচনা থেকে স্পষ্ট।
What's Your Reaction?






