কেদারনাথ মন্দিরের আজও অমীমাংসিত রহস্য!

মালয় পর্বতমালার কোলে অবস্থিত, কেদারনাথ মন্দিরটি দেশের সবচেয়ে পবিত্র শিব মন্দিরগুলির মধ্যে একটি। এই প্রাচীন মন্দিরটি ১২০০ বছরেরও বেশি পুরনো। কেদারনাথ মন্দির কখন নির্মিত হয়েছিল তা কেউ জানে না। কেদারনাথ মন্দিরের এই সবচেয়ে বড় রহস্যটি এখনও অমীমাংসিত। ঐতিহাসিক গ্রন্থ এবং গল্পে এর নির্মাণ সম্পর্কে অনেক কিছু লেখা হয়েছে, কিন্তু এর কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। মহাভারতের পাণ্ডবরা এই মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন বলে একটি গল্প প্রচলিত আছে। একই সাথে, অনেকে বিশ্বাস করেন যে এটি আদি শঙ্করাচার্য দ্বারা সংস্কার করা হয়েছিল। ভারতের এই রহস্যময় মন্দিরটি সরাসরি বিজ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ করে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১,৭৫৫ ফুট (৩,৫৮৩ মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত, কেদারনাথ মন্দিরকে একটি স্থাপত্য বিস্ময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই মন্দিরটি বড় বড় পাথর দিয়ে তৈরি। এই মন্দির নির্মাণে কোথাও সিমেন্ট বা কোনও আধুনিক বন্ধন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়নি। মন্দিরটির নির্মাণ এতটাই শক্তিশালী যে তীব্র ভূমিকম্প, তুষারপাত এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কোনও প্রভাব এর উপর পড়েনি। এই মন্দিরটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে। এই মন্দিরের দেয়ালে সুন্দর খোদাই করা চিত্র এখনও এর মহিমা প্রতিফলিত করে।
২০১৩ সালের বন্যায় কেদারনাথ মন্দির অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় l ২০১৩ সালে, উত্তরাখণ্ডে এক বিরাট দুর্যোগ ঘটেছিল। এই ভয়াবহ বন্যায় পুরো জায়গাটি ধ্বংস হয়ে গেছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মন্দিরের আশেপাশের এলাকাগুলি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হলেও মন্দিরটির খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। এই মহাপ্লাবনের মধ্যেও কেদারনাথ মন্দির নিরাপদ ছিল। ধারণা করা হয় যে মন্দিরের পিছনে ‘ভীমশীলা’ নামে একটি বড় পাথর ছিল। এই পাথরটি মন্দির থেকে বন্যার জল সরিয়ে নিয়েছিল। স্থানীয় মানুষ এটিকে শিবের অলৌকিক ঘটনা বলে মনে করে।
What's Your Reaction?






